আসসালামুআলাইকুম বন্ধুরা, বন্ধুরা মোবাইল আসার পরে আমাদের জীবন কে আরও সহজ হয়ে গেছে। তবে বিশেষ করে স্মার্ট ফোন আসার পরে আমাদের জীবনটা আরো বেশি সহজ হয়ে গেছে। বর্তমান পৃথিবীতে হাজারো স্মার্ট ফোনের ব্র্যান্ড রয়েছে। এই স্মার্টফোন গুলো কে সচল রাখার জন্য অসংখ্য অপারেটিং সিস্টেম রয়েছে। তবে বর্তমান বিশ্বে দুটি অপারেটিং সিস্টেম তাদের দাপট ধরে রেখেছে। একটি হচ্ছে গুগলের অ্যান্ড্রয়েড এবং অপরটি হচ্ছে অ্যাপলের আইওএস। দুটি অপারেটিং সিস্টেমই অসাধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন। আমরা অনেকেই আছি যারা একটি স্মার্টফোন কিনতে গেলে বিভ্রান্তিতে পড়ে যাই, যে কোন স্মার্টফোনটি কিনবো?? অ্যান্ড্রয়েড নাকি আইওএস। বিশেষ করে যাদের বাজেট বেশি তারা এই বিভ্রান্তিতে বেশি পড়ে। এই দুটি অপারেটিং সিস্টেম অসাধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন হলেও দুটি অপারেটিং সিস্টেমের মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে। যেগুলো আমরা আজকে আপনাদের সামনে তুলে ধরবো, যাতে আপনারা একটি সুন্দর স্মার্ট ফোন কিনতে পারেন আপনার বাজেটের মধ্যে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক...
১.🔐 Privacy 🔐
প্রাইভেসি দিক থেকে অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস এর মধ্যে আইওএস সেরা। কারণ অ্যান্ড্রয়েড তাদের অ্যাপ স্টোরের অ্যাপ গুলোকে পুরোপুরি স্ক্যান না করে তাদের অ্যাপ স্টরে ছাড়ে, আর যতদিন এ তারা পুরোপুরি স্ক্যান করে ততদিনে যে কোন একজন মানুষ সে অ্যাপটিকে ব্যবহার করে বা অনেকেই ব্যবহার করেন। যার ফলে অনেকের প্রাইভেসি নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অন্যদিকে আইওএস তাদের অ্যাপ স্টোরের অ্যাপ গুলোকে পুরোপুরি ভাবে স্ক্যান করে তারপরে তাদের অ্যাপ স্টরে পাবলিশ করে। তবে গুগল তাদের এই অ্যাপস স্টোরটি দিন দিন অনেক আপডেট দিচ্ছে এবং এসব ফালতু অ্যাপ গুলোকে রিমুভ করে দিচ্ছে। সর্বোপরি বলা যায় প্রাইভেসি দিক থেকে আইওএস স্মার্টফোনই সেরা। তাই বেশিরভাগ সেলিব্রেটিরা আইফোন ব্যবহার করে তাদের প্রাইভেসির জন্য।
২.📱 Model বা Brand 📱
বর্তমান বিশ্বে আইওএস বা আইফোন তৈরিকৃত কম্পানি শুধুমাত্র অ্যাপল। বর্তমানে Apple এর মাত্র ১০ টির বেশি model এর 30 টি varient available আছে। অন্যদিকে গুগলের অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম চালিত স্মার্টফোনের সংখ্যা অনেক। এছাড়া গুগলের অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহৃত কোম্পানি ও অনেক, যার ফলে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম চালিত অনেক ধরনের এবং অনেক মডেলের স্মার্টফোন রয়েছে। যাক থেকে বেছে আপনি আপনার পছন্দের স্মার্ট ফোনটি নিতে পারবেন।
৩.📲 App 📲
অ্যাপ্লিকেশনের দিক থেকে আমি বলব অ্যান্ড্রয়েড এগিয়ে। কারণ বিশ্বের বেশিরভাগ অ্যাপ্লিকেশন অ্যান্ড্রয়েড এর জন্যই তৈরি করা হয়। আপনার যদি একটি এন্ড্রয়েড ফোন থাকে তাহলে আপনি কি কোন মানুষের সাথে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন শেয়ার করতে পারবেন, কারণ এই বিশ্বে এখন বর্তমানে অ্যান্ড্রয়েডের ইউজার বেশি। অন্যদিকে আইফোনের অ্যাপ্লিকেশন এবং ইউজার কম হয় আপনি অ্যাপ্লিকেশনের সমস্যায় পড়তে পারেন। ধরুন আপনার কোন একটি এপ্লিকেশন প্রয়োজন সেক্ষেত্রে আপনি অন্য কারো কাছ থেকে অ্যাপ্লিকেশন শেয়ার করতে পারবেন না। যদি টারটা আই ও এস স্মার্টফোন হয় সে ক্ষেত্রে আপনি অ্যাপ্লিকেশন শেয়ার করতে পারবেন।
৪.💰 Quality and Price 💰
যদিও আই ফোনের বিল কোয়ালিটি অনেক ভালো, তবুও আইফোনের দাম তুলনামূলক অনেক বেশি। এর কারণ হলো অ্যাপল কোম্পানি তাদের উৎপাদন খরচ থেকে তিনগুণ বেশি মুনাফা আয় করে। যার ফলে আই ও এস এর দাম তিনগুণ হয়ে যায়। অন্যদিকে অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের দাম তুলনামূলক অনেক কম। অ্যান্ড্রয়েড তাদের গ্রাহকদের কম দামে ভালো কিছু কোয়ালিটি এবং ভালো ফিচার দেয় যার ফলে লোকজন এন্ড্রয়েড ফোনের দিকে বেশি আকর্ষিত হয়।
বন্ধুরা এই পোস্টটি পড়ার পরে আশা করি আপনাদের স্মার্টফোন কেনার ক্ষেত্রে একটু হলো জ্ঞান বেড়েছে। এখন আপনি কোন স্মার্টফোন কিনবেন এটা আপনার উপরেই ডিপেন্ড করে। আর যদি আমাকে জিজ্ঞেস করেন যে অ্যান্ড্রয়েড এবং আই ও এস এর মধ্যে আপনি কোন কোনটা কিনবেন সে ক্ষেত্রে আমি বলব আমি এন্ড্রয়েড ফোনটা কিনবো কারণ অ্যান্ড্রয়েড কম দামে ভালো ফিচার এবং কোয়ালিটি দেয়। বন্ধুরা আশা করি আজকের পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগেছে যদি আপনাদের এই পোস্টে সামান্য পরিমাণ ও ভালো লেগে থাকে তাহলে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন আর আপনাদের যদি কোন ডিভাইস বা টেকনোলজি বিষয়ক কোন কিছু সম্পর্কে জানতে ইচ্ছা করে সে ক্ষেত্রে আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন বা কমেন্টে জানাবেন
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ...
Tags
Android VS iphone, Android vs ios bangla