প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বিশ্ব জুরে তাক লাগিয়ে দিয়েছে তুরুস্কের একটি অ্যাপ যার নাম বিপ ।
গোপনীয়তা নিয়ে হোয়াটস্অ্যাপ ব্যাবহার কারীদের মধ্যে উদ্বেক তৈরি হওয়ায় তুরুস্কের এই অ্যাপটি বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ।
বাংলাদেশের এই অ্যাপের জনপ্রিয়তা সবাইকে ছাড়িয়েছে । ইমো , হোয়াটস্অ্যাপ , ফেসবুক লাইট-এর মত অ্যাপগুলোকে পেছনে ফেলে তালিকায় ১নাম্বারে রয়েছে তুরস্কের এই মেসেজিং (bip apps) বিপ অ্যাপটি ।
মাত্র একদিনের ব্যবধানে এই তালিকায় ৯২ ধাপ এগিয়েছে শীর্ষে উঠেছে তুরস্কের এই অ্যাপটি।
মোবাইল ডাটা বিশ্লেষণ কারি প্রতিষ্ঠান অ্যাপ এনি যানাচ্ছে ঃ বাংলাদেশ থেকে কতবার ডাইনলোড করা হয়েছে , সেই হিসেবে অ্যাপ গুলোর মধ্যে এখন সবার শীর্ষে রয়েছে তুরুস্কের বিপ অ্যাপ ।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশে মোবাইল ফোন ইন্টানেট ব্যবহার কারীর সংখ্য ১১কোটি । মোবাইফোন ইম্পোট এসোসিয়েসন তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে যত মোবাইল সেট ব্যব হার করা হয় তার মধ্যে শতকরা ২৫ শ তাংশ স্মার্ট ফোন , যার সিংহ ভাগ অ্যন্ড্রয়েড ব্যব হার কারি ।
অ্যন্ড্রয়েড ব্যব হার কারীরা গুগল প্লে স্টোর থেকে বিভিন্ন অ্যাপ ডাইনলোড করে থাকে । সেই হিসেবে দেখা যায় যে বিপ ডাইনলোডের সংখ্যা বেশ বেড়েছে ।
কেন বিপ অ্যাপ ব্যবহার এত বেড়েছে ?
মুলত ২টী কারণে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে বিপ অ্যাপের ব্যব হারের প্রবণতা বাড়তে পারে বলে মনে করেন পুযুক্তি বিশেষজ্ঞরা ।
"প্রথমত , পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মানুষ প্রাইভেসি নিয়ের আগের তুলনায় বেশী সচেতন । বাংলাদেশেও অনেক ব্যব হার কারি প্রাইভেসিকেই গুরুত্ব দেন । সেজন্য অনেকে বিপ অ্যাপ ডাইনলোড করে থাকতে পারে ।
২য়ত ; তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের অফিস যখন হোয়াটস্ অ্যাপ ছেড়ে বিপ অ্যাপ ব্যব হারের ডাক দেন তখন এটির প্রিভাব তৈরি হয়েছে "
অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন , তুরস্ক মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট দেশ হওয়ায় সে দেশের একটি অ্যাপ-এর প্রতি অনেকের আগ্রহ থাকতে পারে । তবে এর পিছনে ধ্মীয় কারণ রয়েছে কি না সে বিষয়ে পরিষ্কার করে বলা কঠীন