আসসালামুআলাইকুম বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই, আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজ আপনাদের সাথে আলোচনা করব ই-সিম টেকনোলজি নিয়ে। ই-সিম টেকনোলজি কি? ই-সিম টেকনোলজি কিভাবে ব্যবহার করতে হয়? এবং এই টেকনোলজি আমাদের দেশে আছে? তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক...
ই-সিম কি??
ই-সিম হল এমন একটি প্রযুক্তি, যা হলো একটি ছোট চিপ। এটি মোবাইল কোম্পানিগুলো আপনার মোবাইলে আগে থেকেই ইনস্টল করে দেবে। যার ফলে আপনার আর কোন সিম এর প্রয়োজন হবে না। মানে হচ্ছে আপনাকে নতুন করে আর কোন সিম ইন্সটল করতে হবে না। উদাহরণ: ধরুন আমরা যদি কোন মোবাইল কিনি সে মোবাইলে কিন্তু নতুন একটি সিম ইন্সটল করতে হয়। কিন্তু যদি এই প্রযুক্তি আপনার মোবাইলে থাকে বা এই চিপটি যদি আপনার মোবাইলে থেকে থাকে তাহলে আপনাকে আর নতুন করে সিম ইন্সটল করতে হবেনা। মোবাইল কোম্পানিগুলোঅটোমেটিক একটি চিপ ইন্সটল করে দেবে যেটা সব সিম সাপোর্ট করবে।
ই-সিমের কাজ করার পদ্ধতি
ধরুন আপনি একটা মোবাইল কিনছেন সে মোবাইলে কিন্তু নতুন করে একটি সিম ইনস্টল করতে হবে মানি নতুন একটা সিম প্রবেশ করাতে হবে তাহলে আপনি নেটওয়ার্ক পাবেন। কিন্তু এই প্রযুক্তিটি থাকলে আপনাকে আর কোন সিম ইন্সটল করতে হবে না ঠিক আছে, ধরুন আপনি গ্রামীন সিম টি ইন্সটল করতে চান সে ক্ষেত্রে গ্রামীণ সিম কোম্পানি আপনাকে একটি ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড দেবে অথবা কিউআর কোড স্ক্যান করার জন্য একটি কিউ আর কোড দিবে। যার মাধ্যমে আপনারা সেই গ্রামীন সিম থেকে আপনার মোবাইলে ইন্সটল করতে পারবেন।মানে হচ্ছে আপনি ফেসবুকে যেভাবে ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করেন ঠিক তেমনি আপনি আপনার মোবাইলে ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে সেই সিম টি ইনস্টল করতে হবে। অথবা আপনাকে যদি কিউআর কোড দেয় সেক্ষেত্রে আপনাকে কিউ আর কোড স্ক্যান করে ওই সিমটা আপনার মোবাইলে ইন্সটল করতে হবে।
ই-সিম প্রযুক্তির সুবিধা
ই সিম প্রযুক্তিটির অনেক সুবিধা রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় একটি সুবিধা হচ্ছে আপনাকে বারবার আপনার মোবাইল থেকে সিম না খুলেই আপনি যেকোনো সিম ইন্সটল করতে পারবেন।এ প্রযুক্তিতে আরো একটি বড় সুবিধা হচ্ছে এই প্রযুক্তিতে অনেক ছোট হওয়ায় মোবাইল কোম্পানিগুলো আপনাদের টা আরেকটু বেশি ফ্যাসিলিটি আর একটু বেশি সুবিধা দিতে পারবে। অথবা মোবাইল কোম্পানিগুলো ভবিষ্যৎ মোবাইল গুলোর কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে দিতে পারবে।এই প্রযুক্তিটির আরো একটি বড় সুবিধা হচ্ছে বর্তমানে আমরা কিন্তু একটি সিম শুধুমাত্র একটি ডিভাইস ব্যবহার করতে পারি আমরা কিন্তু একটি সিম একই সময়ে অন্য আরেকটি সিং এর ব্যবহার করতে পারি না। কিন্তু এ প্রযুক্তিটি যদি আমাদের দেশে চালু হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে আমরা একটি সিম হাজার ডিভাইসে ও ব্যবহার করতে পারব একই সময়ে।
তবে আমাদের দেশে সিম টেকনোলজি চালু হতে 2020 সাল হয়ে যেতে পারে। কারণ আপনারা জানেন যে পৃথিবীতে ফোরজি টেকনোলজি এসেছিল 2014 সালে কিন্তু আমাদের দেশে ফোরজি এসেছে 2018 সালে। পৃথিবীতে ই-সিম টেকনোলজি মূলত চালু হয়েছে 2016 সালে। তাই বলা যায় আমাদের দেশে ই-সিম টেকনোলজি চালু হতে ২০২০ সাল হয়ে যেতে পারে।
তাহলে বন্ধুরা ই-সিম সম্পর্কে আশা করি সবাই বুঝতে পেরেছেন। তাহলে বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই, আশা করি আজকের পোস্টটি আপনাদের ভাল লেগেছে। আজকের পোস্টটি আপনার শেয়ার করুন, শেয়ার করে বন্ধুদের কেউ জানার সুযোগ করে দিন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ....
Tags
esim Bangla Turorial, e-sim, electronic Sim technology bangla tutorial, new mobile gadgets, what is esim